(প্রথমেই বলে রাখি, লেখাটি আমার একার সৃষ্টি নয়…ভাবনাটিও এক মগজের হাবিজাবি চিন্তাধারার বহিঃপ্রকাশ নয়। এটি আমার এবং শ্রুতির মিলিত প্রয়াস)
“কত আর রাত হবে, বেশি নয়…টেবিল ঘড়ির ছোটো কাঁটাটি ১-এর দাগে এবং বড় কাঁটাটা ১২-এর ঘর ছুঁই ছুঁই। না! কিছুতেই একটাও শব্দ উগরাতে পারলাম না, স্তব্ধ ডিজিটাল পান্ডুলিপি!”
ধুস! দরজাটা বোধ হয় খোলা থেকে গেল…হাঁটতে থাকলাম বড় রাস্তার ধার ঘেঁষে, কিছুই খেয়াল ছিলনা তেমন। ইশ! এখন মনে হচ্ছে একটা স্টোল নিলেও ভালো হত। বাড়িতে পড়া শর্টস আর ট্যাঙ্ক টপটাও পালটানো হয়নি। আগামীকালের ভেতর লেখাটা ওদের পাঠাতে না পারলে…বিরক্তি গিজগিজ করছিল মাথার ভেতর। ওদিকে ভাড়া বাকি মাস দু’য়েকের।
চারদেওয়ালের ওই কামরাটার দমবন্ধ অ্যাটস্মোফিয়ার থেকে পালাতেই বেরিয়ে আসা। রাস্তাটা বেশ ফাঁকা, এই ভালো লাগছে। অনুভূতির কোশগুলো একটা ঠান্ডা হাওয়ার আঁচ পাওয়ায় মন অনেকটা হাল্কা হয়ে গেল। হাতের তালুগুলোও ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে আমার। হাল্কা কুয়াশা ও স্ট্রিট লাইটের আলো রিয়েলিটিতে দিয়েছে একটা ম্যাজিকাল টাচ।
নিজের মনে হেঁটে চলেছি এখনো, সময়ের খেয়াল নেই। হঠাতই চোখে পড়ল সামনের ক্রসিং-এ কয়েকজন ছেলে…রাতের আড্ডায় মসগুল। ঘ্রাণেন্দ্রিয় এক চেনা গন্ধ পায়, বোধহ্য় অ্যালকোহল! “কি হল দিদি কোনো হেল্প লাগবে?” ওদের মধ্যে থেকেই জিজ্ঞেস করল একজন।
…এখন আমি আবার ঐ ‘এক কামরা’-এর অভিমুখী। ওদের সাথে কথা বলে বেশ হাল্কা হয়ে গেলাম…চিন্তারাও তেমন আমল পাচ্ছেনা। না! মনে হচ্ছে ফিরে লিখে ফেলতেই পারব নতুন কিছু, চাকরিটাও থেকে যাবে”।
এইবার আপনারাই একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো, ঘটনাটি বাস্তব না রূপকথা?
No comments:
Post a Comment