HAPPY READING...
Thursday, 10 September 2020
ভারতীয় সালিশি সভায় সুস্বাগত !
Wednesday, 19 August 2020
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রতই না হয়, সেই শিক্ষাই অসম্পূর্ণ
এই সময় বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে
বাঁচানোর
শাসকপক্ষ বারবার বলে, শিক্ষাক্ষেত্র রাজনীতির পরিসর নয় । তবে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার জাগরণ কোথায় হবে ? একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রমনের যদি রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রতই না হয়, তবে সেই শিক্ষাই অসম্পূর্ণ । বিশ্বে অরাজনৈতিক কোনও ধারনার অস্তিত্ব নেই । একটি ছাত্রমনই প্রশ্ন করবে, অধিকারের জন্য লড়বে । নিজের মৌলিক অধিকার ও দায়িত্ব বুঝে আরও চার-পাঁচজনের কথা ভাববে । দারিদ্র, অন্যায়, অনাহার যদি তাকে না ভাবায় তাহলে সে কি আদৌতে শিক্ষার আলোকে আলোকিত হয়েছে ? কিন্তু ফ্যাসিবাদী সরকার কখনওই চাইবে না, তাদের কাজের বিরুদ্ধে কেউ প্রশ্ন করুক । তারা কখনওই চাইবে না, শিক্ষার্থীরা মৌলিক অধিকার বুঝে নিক । মানুষের কথা ভাবুক, মানুষের জন্য লড়ুক । বিজেপি সরকারের যে কোনও সিদ্ধান্তের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত সরব হয়েছে । সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা গিয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেই । নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর জামিয়া, জেএনইউ, যাদবপুর, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন । আওয়াজ তুলেছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে । এসেছে কবিতা, গান, স্লোগান । শাসকগোষ্ঠী ফিরিয়ে দিয়েছে বুলেট, লাঠি ও অত্যাচার । কিন্তু সেই আন্দোলন থেমে যায়নি । একইভাবে শাহিনবাগ আন্দোলনে ও দিল্লি দাঙ্গার সময়েও ছাত্র-ছাত্রীদের সরব হতে দেখা গিয়েছে । দেখা গিয়েছে দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রতিবাদের সুর সবথেকে জোরালো । কারণ, শিক্ষার আলো সেইসব ছাত্রমনকে ছুঁয়েছে । মানুষের কথা ভাবতে শিখিয়েছে, মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিখিয়েছে । রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার স্পর্ধা দিয়েছে । এই স্পর্ধা জন্ম জন্মান্তরের, প্রকৃত শিক্ষা সঠিক রাস্তা চিনিয়ে দেয় কেবল...
চলতি বছরে 5 জানুয়ারি একইভাবে জেএনইউ ক্যাম্পাসে ঢুকে ঐশীকে মারে এবিভিপির গুণ্ডারা । অন্যান্য পড়ুয়া ও অধ্যাপকদেরও মারধর করা হয় । ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চলে । জামিয়ার মিছিলে ছাত্রকে গুলি করে এক দুষ্কৃতী । সেইসময়ও পুলিশ ঘটনাস্থানে ছিল ও দাঁড়িয়ে দেখছিল । আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, দিল্লির পুলিশ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে ।
প্রত্যেকটা ঘটনা থেকে এই বিষয় পরিষ্কার যে, বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকেই লক্ষ্য করেছে দক্ষিণপন্থীরা । রাষ্ট্র ছাত্র-ছাত্রীদের কণ্ঠরোধ করার জন্য চূড়ান্ত পদক্ষেপ করেছে বারবার । কিন্তু কেন ? আমরা ভেবে দেখেছি ?
প্যানডেমিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সিবিএসই-র পাঠ্যক্রম থেকে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মতো বিষয়কে বাদ দিয়েছে কেন্দ্র । নতুন শিক্ষানীতি আরোপ করেছে । পুরাতন শিক্ষাব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলে দিতে চেয়েছে । দেশে এক নতুন শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দিতে চেয়েছে , কেন? কারণ আমরা ভেবে দেখিনি । তবে যদি এখনও ভেবে না দেখি, তবে আর কবে ভাবব ? কারণ এইবার আঘাত এসেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর । সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন চলছিলই, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসরকে নিয়ন্ত্রণাধীন করতে চাইছে বিজেপি সরকার । আমরা রবীন্দ্রনাথের ভাবধারায় নিজেদের ভাসিয়ে দিতে পারিনি বলেই জ্ঞানের সেই আলোক আমাদের এখনও ছুঁয়ে যেতে পারেনি । পূজা পর্যায়-প্রেম পর্যায়ের মধ্যবর্তী বিভাজন রেখা আমাদের মনে বিলীন হয়ে যায়নি । প্রেমে ঈশ্বরকে খুঁজে পেতে পারিনি তাই ! সাধারণত হিন্দুত্ববাদীরা পশ্চিমী শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিরোধী হয় । কিন্তু রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন গড়ে তোলা, ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্ত পরিসরে শিক্ষা দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্যই ছিল বিদেশের ও দেশের শিক্ষার এক মিলন । খোলা আকাশের নিচে বদ্ধ পরিসরের বাইরে অধ্যাবসায়ের লক্ষ্যে শুরু হয়েছিল শান্তিনিকেতনের পথ চলা । আমরা বাংলা সাহিত্যে এমনকী বিদেশী সাহিত্যেও তার উল্লেখ পেয়েছি । রবি ঠাকুরের লেখায় তার উল্লেখ পেয়েছি । সেই শান্তিনিকেতন সেই বিশ্বভারতীকে অধীনস্থ করার চেষ্টা চলছে । পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে । ছাত্র-ছাত্রীরা বারবার তার বিরোধিতা করেছেন । আওয়াজ তুলেছেন, শান্তিনিকেতন বাঁচাও । এখন সত্যিই আমাদের শান্তিনিকেতন বাঁচানোর সময় ! শান্তিনিকেতনের কোনও বাঁধা পরিসর নেই, থাকতে পারে না । শাসকগোষ্ঠী বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি , বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার আছে পাঁচিল দেওয়ার ! রাজ্যপাল রবি ঠাকুরের উপমা টানছেন । রবি ঠাকুরের স্বপ্নকে আঘাত করে তাঁর কথাই উল্লেখ করার স্পর্ধা কীভাবে হয় এঁদের আমি জানি না ।
স্থানীয় লোকজন ও রাজ্যের শাসকদলের কয়েকজনের নামও পাঁচিল ভাঙার ঘটনায় জড়িয়েছে । বিশ্বভারতীর ঘটনাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে বিজেপি । যারা মানুষ বলতে ধর্ম বোঝে, বিভেদ বোঝে, হিংসা বোঝে...তারা শান্তিনিকেতনের পরিবেশ উপলব্ধি করবে কীভাবে ? রবীন্দ্রনাথের বোলপুর-শান্তিনিকেতনের লালমাটি যারা ছুঁইয়েই দেখেনি তারা কী বুঝবে আদিবাসী গান ! তারা কীভাবে চিনে নেবে খোয়াইয়ের পথ ! বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট করাতে যদি রাজ্যপাল এতই উদ্বিগ্ন হন তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তছনছ করার সময় তিনি চুপ করেছিলেন কেন ? এখন সত্যিই শান্তিনিকেতন বাঁচানোর সময়, বিশ্বভারতী বাঁচানোর সময় । মানব বন্ধন হয়ে ক্যাম্পাস আগলে রাখতে হবে আমাদেরই । ওরা আসবে, ওরা মারবে । কিন্তু আমাদের মানব বন্ধন ভাঙলে চলবে না । কারণ এই শান্তিনিকেতন আমাদের, বিশ্বের । এক স্বাধীনতার স্বপ্ন, মুক্তির স্বপ্ন, মুক্ত শিক্ষার স্বপ্ন । ওই দাঙ্গাবাজদের নয় । নিজেদের জীবনকে ওরা রবীন্দ্রনাথ দিয়ে বেষ্টিত করতে পারেনি, তাই শিক্ষাপরিসরকে ঘিরে ফেলতে চাইছে !
বিশ্বভারতী, যাদবপুর, জেএনইউ এক একটা উদাহরণ মাত্র । আসলে দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকেই কবজায় করতে চায় ওরা । কারণ শুধু এই প্রজন্ম নয়, আগামী প্রজন্মকেও পঙ্গু করে দিতে চায় । ফ্যাসিবাদী সরকার প্রথমেই শিক্ষাব্যবস্থাকে লক্ষ্য করবে, কারণ সেইখানেই তৈরি হয় বিরোধী মন । ছাত্র-ছাত্রীদের রাষ্ট্রের সামনে দেশদ্রোহী প্রমাণ করতে চাইবে কারণ তাঁরাই প্রশ্ন করার স্পর্ধা দেখায় । যার উত্তর দেওয়ার হিম্মত শাসকপক্ষের নেই । ওরা কী চায় ? একটা পঙ্গু সমাজ ব্যবস্থা, যারা প্রশ্ন করতে জানে না । যারা অনুসরণ করে । এই সময় বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে বাঁচানোর । এক ব্যারিকেড যা ঘিরে থাকুক শিক্ষাব্যবস্থা-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান । অন্তত শাসকগোষ্ঠী যেন সেই পরিসরে আঘাত না করতে পারে, ভাঙতে না পারে সেই ব্যারিকেড । রক্ত দিয়ে তৈরি ব্যারিকেড, স্পর্ধা ও শিক্ষার আলোকে তৈরি ব্যারিকেড...জীবন থাকতে যেন সেই ব্যারিকেড ভেঙে না পড়ে...
Wednesday, 5 August 2020
৩৭০ প্রত্যাহারের এক বছর, রামমন্দির এবং অবিচ্ছেদ্য ভারত
আজ উৎসবের দিন, হ্যাঁ উৎসবই বটে! যখন সারা দেশে 15 লাখের বেশি এক অসুখে আক্রান্ত, যখন 40 হাজারের কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, পড়তে থাকা অর্থনীতির কারণে কোটি কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন, অনেকেই অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন, অনেকের মৃত্যু হয়েছে বাড়ি ফেরার পথে...ঠিক তখনই উৎসবের সময়! মন্দির উৎসব...ক্ষমতা প্রদর্শনের উৎসব । এক ধ্বংসের খেলা চলছে, অন্যায়ের তালিকা একটু একটু করে বাড়ছে আর আমরা সেই শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখান থেকে ফিরে আসার কোনও পথ নেই ।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময়ে আমার জন্ম হয়নি । সেই সময়ের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে অতটাও অবগত নই, পড়েছিলাম কেবল । যতদিনে রাজনৈতিক চেতনা হয়েছে, কলেজের সেই দিনগুলোর থেকে 92 সালের মধ্যবর্তী দূরত্ব অনেকটাই...সেই সময় বম্বে দেখছি, দেখছি নাসিন । 92-র ওই সময়টার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি । মনে পড়ে য়ুনিভার্সিটি পড়তে বন্ধুদের মধ্যে একটা বাক্য নিয়ে খুব মজা হত, কিন্তু ভাবিনি সত্যিই এইদিনটা দেখবে ভারতবর্ষ । মন্দির ওখানেই তৈরি বানানো হবে ! মহাকাব্যকে যাঁরা ইতিহাস বলে ভেবে নিয়েছেন, তাঁদের বুদ্ধিমত্তার দৌড় কতদূর তা বোঝা যায় । একটা কাল্পনিক চরিত্রের ভিত্তিতে দীর্ঘ বছরের ইতিহাসকে ধ্বংস করে, জোর করে নিজেদের শক্তি, নিজেদের প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠা করা হল । দেশের আইনকে নিয়ন্ত্রণ করা হল, এই সময় উৎসবের নয় ? অবশ্যই উৎসবের ।
2019 ভারতের সংবিধানের, গণতন্ত্রের দুঃসময় । যখন পুরো দেশ মন্দির গড়ায় মেতেছে, সেই সময় এক কোণায় অন্ধকারে অত্যাচারে যন্ত্রণায় চোখের জল ফেলছে কাশ্মীর । কীভাবে ভুলে যাব, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ? ঠিক একটা বছর, অথচ আমরা ভুলে গিয়েছি । পাশ কাটিয়েছে কেউ, এখন শিরোনাম রাম জন্মভূমিই । 2019-র 5 অগাস্ট 370 ধারা ও 35এ প্রত্যাহার করা হয়েছিল । বিশেষ মর্যাদা হারিয়েছিল কাশ্মীর, কেন্দ্রশাসিত দুই অঞ্চল তখন সম্পূর্ণ পরাধীন । রাতারাতি ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে অন্ধকার যে কূপের মধ্যে কাশ্মীরকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল, সেই কূপে গণতন্ত্র নেই, স্বাধীনতা নেই । আছে ফ্যাসিবাদী শাসন । এরপর সেখানে কত মৃত্যু হয়েছে, কত মানুষ হয়েছে নিখোঁজ আমরা জানি না । মাঝেমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এসে বলে গিয়েছেন, “কাশ্মীর ভাল আছে!” কিন্তু সেই ভাল থাকার সংজ্ঞা কী ? বেকারত্ব, মৃত্যু, যন্ত্রণা, অত্যাচার, কারফিউ ? কাশ্মীরে চাকরি নেই; সম্প্রতি একটি রিপোর্ট জানাচ্ছে, যে সাত মাস টানা কারফিউ ছিল কাশ্মীরে, সেই সময় ধসের মুথে পড়ছে কাশ্মীরের অর্থনীতি । প্রভাব পড়েছে ব্যবসায় । এক বছরে প্রায় 40 হাজার কোটির ক্ষতি হয়েছে কাশ্মীরে । ফল? বেকারত্ব, জীবিকাহীন জীবন, লোকসান...কোনও প্রদেশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে গেলে সবার আগে অর্থনীতি পরিকাঠামোটাই ভেঙে দেওয়া হয় । কাশ্মীরও সেই সমীকরণের বাইরে নয় । বারবার অধিকারের লড়াই লড়তে লড়তে, আর্থিক অবস্থানের সঙ্গে মানিয়ে নিতে নিতে ওঁরাও ক্লান্ত । পেলেট গান, এনকাউন্টার, অত্যাচার এই সবকিছুর সঙ্গে অতঃপ্রতভাবে কাশ্মীরের জীবন জড়িয়ে গিয়েছে । কিন্তু আমাদেরও ভুললে চলবে না, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ।
আমরা নাগরিকত্ব
সংশোধনী আইনের কথা ভুলে যাইনি । আমরা ভুলে যাইনি, বারবার ভারতের সংবিধানকে, প্রত্যেকের
সাংবিধানিক অধিকারকে কীভাবে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে শাসকদল । আমরা ভুলে যাইনি,
ধর্মের নামে কীভাবে দেশের মধ্যে বিভাজন রেখা টানার চেষ্টা চলেছে । আমরা ভুলে যাইনি
। আজ উৎসবের দিন, বর্ষপূর্তির উৎসব ।
ফ্যাসিবাদী সরকারের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার অন্যতম পদক্ষেপের আজ এক বছর, আজ উৎসব হবে না
? হয়তো খুব সন্তর্পণেই নির্বাচন করা হয়েছে, 5 অগাস্ট । যেই
সময় মানুষ কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সামান্য হলেও ভাবত, সেই সময়ই
রামজন্মভূমির উদযাপনে মেতেছে দেশ । গণতন্ত্রের আরও এক কালো দিন । মানুষকে মৌলিক
অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, সেখানে প্রতিপত্তির প্রতিষ্ঠা । ক্ষমতার প্রতিষ্ঠান ।
নবারুণ লিখেছিলেন, এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না । আমরাও এক সময় ভেবেছি, না এই
ভারত সেই স্বপ্নের ভারত নয়...এই দেশ আমার দেশ না । 250 বছরের ঔপনিবেশিক শাসন
বিরুদ্ধতার ইতিহাস আমাদের যে সাহস দিয়েছিল, অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেইভাবে আমাদের লড়তে
শিখিয়েছিল, কাঁটাতারের ক্ষতের উপর নতুন ভারতের স্বপ্ন প্রলেপ লাগিয়েছিল । সেই দেশ
একটু একটু করে ধ্বংস হচ্ছে...আর্থিক মন্দা, বাড়তে থাকা বেকারত্ব, সাম্প্রদায়িকতা,
দাঙ্গা, মহামারি আরও কত কিছুর সঙ্গে লড়ব আমরা ? একদিকে
দেশ ধ্বংস হচ্ছে, আর একদিকে গড়া হচ্ছে মন্দির ! ইটের গায়ে রাম-নাম । একটা একটা ইট
ক্ষমতার প্রকাশ । অন্যায়ের অভিব্যক্তি । সারা দেশ আনন্দে মেতেছে...আমরাও ভুলে গিয়েছি
কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেখানে আবার জারি হয়েছে কারফিউ...আবার সেখানে
মৃত্যু হচ্ছে কারও । গণতন্ত্রের পতন---মন্দির গঠন । কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য
অংশ, কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ । সেই দেশে কোথায় যেখানে মুক্তি রয়েছে ,
স্বাধীনতা রয়েছে ?
ছবি সৌজন্যে - গুগল